ফুটবলঃ বীরগঞ্জ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাকড়াই আদিবাসী যুব সংঘের আয়োজনে এবং ইব্রাহীম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় আদিবাসী সমপ্রদায়ের উদ্যগে ফুটবল খেলা হয়ে থাকে।উৎসব মুখোর পরিবেশে কয়েক হাজার আদিবাসী নারী-পুরুষসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংবাদিক সংঘঠনের শতশত নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই ব্যতিক্রমী ফুটবল টুর্নামেন্ট উপভোগ করএ থাকেন। বীরগঞ্জ খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিএই খেলার সার্বিক তত্ববধান করে থাকে।
কানামাছিঃ কানামাছিঃ উভয়পে সমান সংখ্যক প্লেয়ার নির্দিষ্ট দুরত্বে লাইন ধরে বসে থাকতো এবং মাছ ফুল পাখি ইত্যাদির ছদ্দনাম থাকতো উভয়ের প্লেয়ারের। প্রতিপরে অধিনায়ক গিয়ে একজনের উভয় চোখে চাপ দিয়ে ধরে ডাকতো আইয়ও আমার গোয়াল মাছ। তখন গোয়াল মাছ ছদ্দনামের প্লেয়ার প্রতিপরে ওই প্লেয়ারের নিকট গিয়ে সন্তর্পনে কপালে একটি চিমটি কেটে আসতো। পরে চোখ ছেড়ে কে চিমটি দিয়েছে তার নাম বলার জন্য পাঠানো হতো। শিকার ধরতে পারলে সে মরা খেত না ধরতে পারলে যাকে পাঠানো হতো সে উল্টো মরা খেত।
গোল্লাছুটঃ গোল্লাছুটঃ ক্রিকেটের টচের আদলে টচ দেওয়া হয় যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হতো ছিটফট। একটি পাতা বা কাগজের এক সাইটে মুখের ভেতর থেকে থুথু (ছেফ) দিয়ে বলা হয় ছেফ না লেফ। এক প চায় ছেফ অপর প চায় লেফ। উপর দিকে নিপে করার পরে ঘুরে ঘুরে মাটিতে পড়ার পর যে প টসে জিতে সে প্রথমে পায় গোল্লার স্থান। অপর প ফিল্ডিং করার জন্য মাঠের সুবিধাজনক স্থানে নেয় শক্ত অবস্থান। চিহ্নিত একটি স্থান বা গর্তকেই নির্ধারন করা হয় গোল্লার স্থান। সেখানে দাড়িয়ে থাকা দলিয় অধিনায়কের হাত ধরে এক এক করে পরস্পরের হাত ধরে ধরে লম্বা হয়ে গোল্লার চারদিকে সকলেই ঘুরতে থাকে। এবং বলে গুল্লা ঘুর ঘুর ছুড়ানি, হাত বেটি পিরানী অথবা গুল্লা ছাঙ্গে না ভাঙ্গে। তখন প্রতিপ হতে ভাঙ্গে বলা হলেই শুরু হয় সুযোগমতো ভাঙ্গনের পালা। সেফাকে গুল্লার সাথে হাত ধরাধরি থাকাবস্থায় প্রতিপরে কাউকে ছুইতে পারলে সে খেলা থেকে হয়ে যায় আউট আবার বিচ্ছিহ্ন অবস্থায় গোল্লার পরে কাউকে ছুইতে পারলে সেও হয়ে যায় ম্যাচ থেকে আউট। পরনেই প্রতিপরে প্লেয়ারকে পাশ কাটিয়ে প্রবল বেগে দৌড়ে পাড়ি দিতে হয় মাঠ। প্রতিপরে প্লেয়ার না ছুইতে পারলে এবং মাঠ পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে যেতে পারলে সে পরবর্তী ধাপের ম্যাচের জন্য মনোনিত হয় এবং অধিনায়ক নির্দিষ্ট স্থান থেকে বেরিয়ে না গেলে গোল্লার থু বলে বেরিয়ে পড়ে বিজয়ীদের প্রত্যেকে একটি করে লাফ দিয়ে দিয়ে সামনে যতটুকু এগিয়ে যাবে সেখানে আবার স্থাপন করা হবে গুল্লা । সেভাবে কয়েক শিফটের মাধ্যমে সিমানা অতিক্রম করতে পারলে হয়ে যায় সাত গুট্টা বা সাতদুন। কিন্তু গোল্লার সহপাঠি সকলেই মাইর খেলে বেরিয়ে পড়তে হয় গুল্লাকে এবং প্রতিপ সকলেই তাকে একসাথে ধাওয়া করে। ধাওয়া অতিক্রম করে সবাইকে পাশ কাটিয়ে মাঠ পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছতে পারলে লাগে এক গুট্টা আর না পৌছতে পারলে বা প্রতিপরে হাতের থাপ্পড় খেলে সকলেই মারা গেছে বলে ধরে নেয়া হয় এবং প্রতিপ পেয়ে যায় গুট্টা লাগানোর সুযোগ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস