আইন ও বিধির সম্পূর্ণ লিঙ্ক ডাউনলোড করে নিন
www.lgd.gov.bd
আইন- ১
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
[২০০৯ সনের ৩০ জুন পর্যন্ত সংশোধিত]
উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮
(১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন) ২
১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন
উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮
[৩রা ডিসেম্বর, ১৯৯৮]
উপজেলা পরিষদ নামক স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ নামক স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত
প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন।- (১) এই আইন উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ নামে অভিহিত হইবে।
*
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা বলবৎ হইবে।
**
২। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
১ [(ক) ‘‘অস্থায়ী চেয়ারম্যান’’ অর্থ চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;]
(খ) ‘‘ইউনিয়ন প্রতিনিধি’’ অর্থ ধারা ৬-(গ) তে উলিস্নখিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা তাহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(গ) ‘‘উপজেলা’’ অর্থ ধারা ৩-এর অধীনে ঘোষিত কোন উপজেলা;
(ঘ) ‘‘কর’’ বলিতে এই আইনের অধীনে আরোপণীয় বা আদায়যোগ্য কোন রেইট, টোল, ফিস, বা অনুরূপ অন্য কোন অর্থও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ঙ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান;
(চ) ‘‘তফসিল’’ অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(ছ) ‘‘পরিষদ’’ অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী গঠিত উপজেলা পরিষদ;
(জ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
২[ (ঞ) ‘‘পৌর প্রতিনিধি’’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) তে উলিস্নখিত পৌরসভার মেয়র বা সাময়িকভাবে তাহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;]
(ট) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
৩[(ঠ) ‘‘ভাইস চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান;
(ড) ‘‘মহিলা সদস্য’’ অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ)তে উলিস্নখিত পরিষদের সংক্ষিত আসনে নির্বাচিত মহিলা সদস্য;
(ঢ) ‘‘সদস্য’’ অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্য যে কোন সদস্য;]
৩। উপজেলা ঘোষণা।- (১) এতদ্বারা প্রথমে তফসিলের তৃতীয় কলামে উল্লিখিত প্রত্যেক থানার এলাকাকে উক্ত কলামে উল্লিখিত নামের উপজেলা ঘোষণা করা হইল।
(২) এই আইন বলবৎ হইবার পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট এলাকা সমন্বয়ে নূতন উপজেলা ঘোষণা করিতে পারিবে।
৪। উপজেলাকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা।- ধারা ৩ এর অধীনে ঘোষিত প্রত্যেকটি উপজেলাকে, সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদের সহিত পঠিতব্য ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এতদ্বারা প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক একাংশ বলিয়া ঘোষণা করা হইল।
৫। উপজেলা পরিষদ স্থাপন।- (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, প্রত্যেক উপজেলায় এই আইনের বিধান অনুযায়ী একটি উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হইবে।
* উপজেলা পরিষদ, (রহিত পুনঃপ্রচলন ও সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৭ নং আইন)- এর ধারা ২ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪নং আইন) পুনঃপ্রবর্তিত [ইহা ৩০ জুন, ২০০৮ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে]।
** এস,আর,ও নং ১৫-আইন/৯৯, তারিখ, ২৭ জানুয়ারি, ১৯৯৯ ইং দ্বারা ১লা ফেব্রম্নয়ারি, ১৯৯৯ ইং তারিখকে আইন বলবৎ করার তারিখ হিসাবে নির্ধারণ করিল।
১। ২০০৯ সনের ২৭ নং আইন এর ৩(ক) ধারা বলে দফা (ক) এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
২২০০৯ সনের ২৭ নং আইন এর ৩(খ) ধারা বলে দফা (ঞ) এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৩২০০৯ সনের ২৭ নং আইন এর ৩(গ) ধারা বলে দফা (ঠ) ও (ড) এর পরিবর্তে দফা (ঠ), (ড) ও (ঢ) প্রতিস্থাপিত।৩
২। পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই
আইন ও বিধি সাপেক্ষ, ইহার স্থাবর অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার মতো থাকিবে এবং ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
১[৬। পরিষদের গঠন।- (১) এ আইনের বিধান অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হইবে, যথাঃ-
(ক) চেয়ারম্যান;
(খ) দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান, যাহার মধ্যে একজন মহিলা হইবেন;
(গ) উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সাময়িকভাবে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ঘ) উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক পৌরসভা, যদি থাকে, এর মেয়র বা সাময়িকভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি; এবং
(ঙ) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যগণ।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ভোটারদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচিত হইবেন।
(৩) কোন উপজেলার এলাকাভুক্ত কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বাতিল হইবার কারণে উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) ও (ঘ) এর অধীন উপজেলা পরিষদের সদস্য থাকিবেন না এবং এইরূপ সদস্য না থাকিলে উক্ত উপজেলা পরিষদ গঠনের বৈধতা ক্ষুণ্ণ হইবে না।
(৪) প্রত্যেক উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা, যদি থাকে, এর মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের সমসংখ্যক আসন, অতঃপর সংরক্ষিত আসন বলিয়া উল্লিখিত, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে, যাহারা উক্ত উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা, যদি থাকে, এর সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য বা কাউন্সিলরগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় কোন কিছুই কোন মহিলাকে সংরক্ষিত আসন বহির্ভূত আসনে সরাসরি নির্বাচন করিবার অধিকারকে বারিত করিবে না।
ব্যাখ্যা: এই উপ-ধারার অধীন সংরÿÿত আসনে সংখ্যা নির্ধারণক্ষেত্রে, যদি উক্ত সংখ্যার ভগ্নাংশ থাকে এবং উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেক বা তদুর্ধ্ব হয়; তবে উহাকে পূর্ণ সংখ্যা বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং যদি উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেকের কম হয়, তবে উহাকে উপেক্ষ করিতে হইবে।
(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন উপজেলা পরিষদ গঠিত হইবার পর উহার অধিক্ষেত্রের মধ্যে নূতন পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হইবার কারণে উপজেলা পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত আসন সংখ্যার কোন পরিবর্তন ঘটিবে না এবং এই কারণে বিদ্যমান উপজেলা পরিষদ গঠনের বৈধতা ক্ষুণ্ণ হইবে না।
(৬) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) ও (ঘ) তে উল্লিখিত ব্যক্তি এই আইনের অধীন পরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
(৭) কোন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এর পদসহ শতকরা ৭৫ ভাগ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত সদস্যগণের নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইলে, পরিষদ, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।
ব্যাখাঃ গঠিত পরিষদের মোট সদস্যদের (৭৫%) পঁচাত্তর শতাংশ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভগ্নাংশের উদ্ভব হইলে এবং তাহা দশমিক পাঁচ শূন্য শতাংশের কম হইলে অগ্রাহ্য করিতে হইবে এবং দশমিক পাঁচ শূন্য শতাংশ বা তার বেশী হইলে তাহা এক গণ্য
করিতে হইবে।
৭। পরিষদের মেয়াদ।- ধারা ৫৩ এর বিধান সাপেক্ষ, পরিষদের মেয়াদ হইবে উহার প্রথম সভার তারিখ হইতে পাঁচ বৎসরঃ তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচিত নূতন পরিষদ উহার প্রথম সভায় মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদ কার্যালয় চালাইয়া যাইবে।
৮। ২[চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের] যোগ্যতা ও অযোগ্যতা।- (১) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষ
৩[চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের]
৪ *** নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন, যদি-
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন;
(খ) তাহার বয়স ২৫ বৎসর পূর্ণ হয়; এবং
(গ) তিনি ধারা ১৯ এ উলিস্নখিত ভোটার তালিকাভুক্ত হন।
১২০০৯ সনের ২৭ নং আইন এর ৪ ধারা বলে ধারা ৬-এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
২২০০৯ সনের ২৭ নং আইন এর ৫(ক) ধারা বলে চেয়ারম্যান শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৩২০০৯ সনের ২৭ নং আইন এর ৫(খ) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৪১৯৯৯ সনের ২২ নং আইন এর ৪(ঘ) ধারা বলে ‘‘বা মহিলা সদস্য’’ শব্দগুলি বিলুপ্ত।৪
(২) কোন ব্যক্তি ১[চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান] নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;
(খ) তাহাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;
(গ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;
(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যসত্ম হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
(ঙ) তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মে লাভজনক সার্বক্ষনিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন;
(চ) তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন;
(ছ) তিনি পরিষদের কোন কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা ইহার জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা পরিষদের কোন বিষয়ে তাঁহার কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে
বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোন দ্রব্যের দোকানদার হন; অথবা
(জ) তাহার নিকট কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত কোন ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী থাকে।
ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারা উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-
(ক) ‘‘ব্যাংক’’ অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২(ড) তে সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী;
(খ) ‘‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) তে সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
৯। ২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও সদস্যগণের শপথ।- (১) ৩[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও প্রত্যেক সদস্য তাহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে নিম্নলিখিত ফরমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোন ব্যক্তির সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন এবং শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন, যথা:-
৪[শপথপত্র বা ঘোষণাপত্র
আমি ...............................................................পিতা/স্বামী .......................................................................
জেলা.....................................................................................................................................................
উপজেলার চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/ সদস্য নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি, যে, আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী এবং সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব।
স্বাক্ষর’’]
(২)। ৫[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা মহিলা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত ব্যক্তিগণের নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার
৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যের শপথ গ্রহণ বা ঘোষণার জন্য সরকার বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
১০। সম্পত্তি সম্পর্কিত ঘোষণা।- ৬[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] তাহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে তাহার এবং তাহার পরিবারের কোন সদস্যের স্বত্ব, দখল বা স্বার্থ আছে এই প্রকার যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির একটি লিখিত বিবরণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত ব্যক্তির নিকট দাখিল করিবেন।
ব্যাখ্যা।- ‘‘পরিবারের সদস্য’’ বলিতে ৬[চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের] স্বামী বা স্ত্রী এবং তাহার সংগে বসবাসকারী এবং তাহার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল তাহার ছেলে-মেয়ে, পিতা-মাতা ও ভাই-বোনকে বুঝাইবে।
১১। ৭[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও সদস্যগণের সুযোগ-সুবিধা।- ৭[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও সদস্যগণের ছুটি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১২। ৮[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও মহিলা সদস্যগণের] পদত্যাগ।- (১) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে ৮[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্যগণ] স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
(২) পদত্যাগ গৃহীত হইবার তারিখ হইতে পদত্যাগ কার্যকর হইবে এবং পদত্যাগকারীর পদ শূন্য হইবে।
২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৫(গ) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
২২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৬(ক) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৩২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৬(খ) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৪২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৬(খ) ধারা বলে ‘‘শপথপত্র বা ঘোষণাপত্র ফরমের’’ পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৫২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৬(গ) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৬২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৭(ক) ও (খ) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৭২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৮(ক) ও (খ) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
৮২০০৯ সনের ২৭নং আইন এর ৯(ক) ও (খ) ধারা বলে ‘‘চেয়ারম্যান’’ শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১৩। ১[চেয়ারম্যান ইত্যাদির অপসারণ।- (১) ১[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা মহিলা সদস্যসহ যে কোন সদস্য তাহার
স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি তিনি-
(ক) যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;
(খ) পরিষদ বা রাষ্ট্রের হানিকর কোন কাজে জড়িত থাকেন, অথবা দুর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক
স্খলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যসত্ম হইয়া দন্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন;
(গ) তাহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসমর্থ্যের কারণে তাহার
দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; অথবা
(ঘ) অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দোষে দোষী হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বা সম্পত্তির কোন ক্ষতি সাধন বা উহার আত্মসাতের জন্য দায়ী হন।
ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারায় ‘‘অসদাচরণ’’ বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ইচ্ছাকৃত কুশাসনও বুঝাইবে।
(২) ২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা কোন সদস্যকে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোন কারণে তাহার পদ হইতে অপসারণ করা যাইবে না, যদি না বিধি অনুযায়ী তদুদ্দেশ্যে আহূত পরিষদের বিশেষ সভায় মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন চার-পঞ্চমাংশ ভোটে তাহার অপসারণের প্রক্ষে প্রস্তাব গৃহীত এবং প্রস্তাবটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তদমেত্মর পর উহা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সিদ্ধামত্ম গ্রহণের পূর্বে
২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা উক্ত সদস্যকে প্রসত্মাবিত সিদ্ধান্তের বিরম্নদ্ধে কারণ দর্শাইবার জন্য যুক্তিসংগত সুযোগদান করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী গৃহীত প্রসত্মাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইলে অনুমোদনের তারিখে ২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা উক্ত সদস্য তাহার পদ হইতে অপসারিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
(৪) ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা, ৩[(গ) ও (ঘ)] এর কোন সদস্য অপসারিত হইলে সংশিস্নষ্ট পৌরসভার কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানদের মধ্য হইতে ক্রমানুসারে পরিষদের শূন্য পদে স্থলাভিষিক্ত হইবেন এবং তিনি এই আইনের অধীন নির্ধারিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
(৫) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন ব্যক্তি পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য পরিষদের ২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা মহিলা সদস্য পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।
১৪। ২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও মহিলা সদস্য পদ শূন্য হওয়া।- (১) ২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা কোন মহিলা সদস্যের পদ শূন্য হইবে, যদি-
(ক) তাঁহার নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি ধারা ৯ এ নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ব্যর্থ হনঃ তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সরকার বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ যথার্থ কারণে ইহা বর্ধিত করিতে পারিবে;
(খ) তিনি ধারা ৮ এর অধীনে তাঁহার পদে থাকার অযোগ্য হইয়া যান;
(গ) তিনি ধারা ১২ এর অধীনে তাঁহার পদ ত্যাগ করেন;
(ঘ) তিনি ধারা ১৩ এর অধীনে তাঁহার পদ হইতে অপসারিত হন;
(ঙ) তিনি ইউনিয়ন বা পৌর প্রতিনিধি বা মহিলা সদস্য হন, এবং সংশিস্নষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার চেয়ারম্যান বা সদস্য বা কমিশনার না থাকেন;
(চ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
(২) ২[চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] বা কোন মহিলা সদস্যের পদ শূন্য হইলে, সরকার বিষয়টি অবিলম্বে সরকারি গেজেটে প্রকাশ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস